কৃষি পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ্যায় কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনুন, লাভজনক ৫টি কৌশল!

webmaster

**

A Bangladeshi farmer, fully clothed in traditional attire, smiling while applying compost to his field. The field is lush with green crops. In the background, other farmers are working, and there's a composting area visible. Include the words "safe for work," "appropriate content," "fully clothed," "modest," "environmentally friendly agriculture," "perfect anatomy," "correct proportions," and "natural pose" for safety and quality.

**

কৃষি পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাস প্রযুক্তি – এই দুইটি বিষয় বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে যেমন আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা প্রয়োজন, তেমনই কৃষির উন্নতিও দরকার। আমি নিজে একজন কৃষক পরিবারের সন্তান হওয়ার সুবাদে দেখেছি, কিভাবে কার্বন নিঃসরণ কমাতে পারলে আমাদের কৃষি এবং পরিবেশ দুইই উপকৃত হতে পারে। নতুন কিছু টেকনোলজি ব্যবহার করে কিভাবে আমরা আমাদের জমিকে আরও উর্বর করতে পারি, সেই বিষয়ে আমার নিজেরও অনেক আগ্রহ রয়েছে।বর্তমান বিশ্বে কার্বন নিঃসরণ একটি বিরাট সমস্যা, আর এর সমাধানে আধুনিক কৃষি পরিবেশ প্রযুক্তি কিভাবে সাহায্য করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করাটা সময়ের দাবি। এই টেকনোলজিগুলো শুধু পরিবেশবান্ধব নয়, বরং কৃষকদের জন্য লাভজনকও বটে।আসুন, এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরিবেশ-বান্ধব কৃষি প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় আধুনিক কৃষি পদ্ধতির ভূমিকা

সরণ - 이미지 1

১. পরিবেশ-বান্ধব সার ব্যবহারের গুরুত্ব

আধুনিক কৃষিতে পরিবেশ-বান্ধব সারের ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাসায়নিক সারের অতিরিক্ত ব্যবহার জমির উর্বরতা কমিয়ে দেয় এবং পরিবেশের দূষণ ঘটায়। এর বিপরীতে, জৈব সার যেমন কম্পোস্ট, কেঁচো সার, এবং সবুজ সার ব্যবহার করে জমির স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। আমি আমার নিজের জমিতে কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে দেখেছি, রাসায়নিক সারের তুলনায় এটি ধীরে ধীরে কাজ করে, কিন্তু জমির দীর্ঘস্থায়ী উপকার করে। এছাড়াও, জৈব সার ব্যবহারের ফলে ফসলের গুণগত মান বৃদ্ধি পায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

২. কীটনাশকের বিকল্প জৈব বালাইনাশক

কীটনাশকের ব্যবহার ফসলের জন্য ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ ধ্বংস করলেও, এটি পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কীটনাশক ব্যবহারের ফলে উপকারী কীটপতঙ্গ, যেমন মৌমাছি এবং প্রজাপতি, মারা যায়, যা পরাগায়নে সাহায্য করে। জৈব বালাইনাশক, যেমন নিম তেল, ট্রাইকোডার্মা, এবং বেসিলাস থুরিনজেনসিস ব্যবহার করে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আমি আমার বাগানে নিম তেল স্প্রে করে দেখেছি, এটি পোকামাকড় দমনে বেশ কার্যকর এবং পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না।

বিষয় রাসায়নিক সার জৈব সার
পরিবেশের প্রভাব দূষণ ঘটায় পরিবেশবান্ধব
জমির উর্বরতা কমিয়ে দেয় বৃদ্ধি করে
ফসলের গুণগত মান কম বেশি

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে কৃষি প্রযুক্তি

১. জলের সঠিক ব্যবহার ও সেচ প্রযুক্তি

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং খরার প্রবণতা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে জলের সঠিক ব্যবহার এবং উন্নত সেচ প্রযুক্তি ব্যবহার করা অপরিহার্য। ড্রিপ ইরিগেশন এবং স্প্রিংকলার সেচ পদ্ধতি ব্যবহার করে জলের অপচয় কমানো যায়। আমি আমার এক বন্ধুর পরামর্শে ড্রিপ ইরিগেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখেছি, এতে জলের ব্যবহার প্রায় অর্ধেক কমে গেছে এবং ফসলের ফলনও বেড়েছে। এছাড়াও, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

২. খরা সহনশীল শস্যের চাষ

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনেক এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে খরা দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে খরা সহনশীল শস্যের চাষ করা একটি ভালো বিকল্প। ধান, গম, এবং ভুট্টার অনেক উন্নত জাত রয়েছে, যা কম জলে ভালো ফলন দিতে পারে। আমি আমার এলাকায় দেখেছি, অনেক কৃষক এখন খরা সহনশীল ধান চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন।

কার্বন নিঃসরণ কমাতে কৃষকের ভূমিকা

১. শস্য অবশিষ্টাংশ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব

শস্য কাটার পর অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে দিলে তা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইডের মতো গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, যা জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করে। শস্য অবশিষ্টাংশ জমিতে মিশিয়ে দিলে তা জৈব সারে পরিণত হয় এবং জমির উর্বরতা বাড়ায়। আমি নিজে শস্য অবশিষ্টাংশ ব্যবহার করে কম্পোস্ট সার তৈরি করি এবং তা জমিতে ব্যবহার করি।

২. কার্বন sequestration-এর জন্য বৃক্ষরোপণ

কৃষি জমিতে বৃক্ষরোপণ করে কার্বন নিঃসরণ কমানো যায়। গাছপালা বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন নির্গত করে। এছাড়াও, গাছের শিকড় মাটিকে ধরে রাখে, যা ভূমি erosion কমাতে সাহায্য করে। আমি আমার জমিতে কিছু ফল গাছ লাগিয়েছি, যা একদিকে যেমন ফল দেয়, তেমনই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে।

পরিবেশ-বান্ধব কৃষি প্রযুক্তির অর্থনৈতিক সুবিধা

১. উৎপাদন খরচ হ্রাস

পরিবেশ-বান্ধব কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব। জৈব সার এবং জৈব বালাইনাশক তৈরি করতে রাসায়নিক সারের তুলনায় কম খরচ হয়। এছাড়াও, জলের সঠিক ব্যবহার এবং খরা সহনশীল শস্য চাষ করে সেচের খরচ কমানো যায়।

২. ফসলের বাজার মূল্য বৃদ্ধি

জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসলের বাজার মূল্য বেশি। ক্রেতারা এখন স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশ-বান্ধব খাদ্য খুঁজছেন, তাই জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসলের চাহিদা বাড়ছে। আমি আমার উৎপাদিত জৈব সবজি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেখেছি, সাধারণ সবজির তুলনায় এর দাম বেশি পাওয়া যায়।

স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি এবং পরিবেশ

১. সেন্সর ও ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার

স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে জমির তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং পুষ্টির মাত্রা পরিমাপ করা যায়। সেন্সর এবং ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে ফসলের প্রয়োজন অনুযায়ী সার এবং জল সরবরাহ করা যায়। এর ফলে অপচয় কমে এবং উৎপাদন বাড়ে।

২. ড্রোন ব্যবহার করে কীটনাশক স্প্রে

ড্রোন ব্যবহার করে ফসলের ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করা যায়। এর ফলে কীটনাশকের অপচয় কমে এবং পরিবেশের দূষণ কম হয়। এছাড়াও, ড্রোন ব্যবহার করে ফসলের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা যায় এবং রোগাক্রান্ত গাছপালা চিহ্নিত করা যায়।

কৃষিতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ

১. ভর্তুকি ও প্রণোদনা

সরকার পরিবেশ-বান্ধব কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য কৃষকদের ভর্তুকি ও প্রণোদনা দিতে পারে। জৈব সার এবং জৈব বালাইনাশক উৎপাদনে উৎসাহিত করার জন্য সরকার আর্থিক সহায়তা দিতে পারে।

২. প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কার্যক্রম

কৃষকদের পরিবেশ-বান্ধব কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। সরকার এবং বেসরকারি সংস্থা যৌথভাবে প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। এর মাধ্যমে কৃষকরা নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারবে এবং তা ব্যবহার করতে উৎসাহিত হবে।বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরিবেশ-বান্ধব কৃষি প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় আধুনিক কৃষি পদ্ধতির ভূমিকা

১. পরিবেশ-বান্ধব সার ব্যবহারের গুরুত্ব

আধুনিক কৃষিতে পরিবেশ-বান্ধব সারের ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাসায়নিক সারের অতিরিক্ত ব্যবহার জমির উর্বরতা কমিয়ে দেয় এবং পরিবেশের দূষণ ঘটায়। এর বিপরীতে, জৈব সার যেমন কম্পোস্ট, কেঁচো সার, এবং সবুজ সার ব্যবহার করে জমির স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। আমি আমার নিজের জমিতে কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে দেখেছি, রাসায়নিক সারের তুলনায় এটি ধীরে ধীরে কাজ করে, কিন্তু জমির দীর্ঘস্থায়ী উপকার করে। এছাড়াও, জৈব সার ব্যবহারের ফলে ফসলের গুণগত মান বৃদ্ধি পায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

২. কীটনাশকের বিকল্প জৈব বালাইনাশক

কীটনাশকের ব্যবহার ফসলের জন্য ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ ধ্বংস করলেও, এটি পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কীটনাশক ব্যবহারের ফলে উপকারী কীটপতঙ্গ, যেমন মৌমাছি এবং প্রজাপতি, মারা যায়, যা পরাগায়নে সাহায্য করে। জৈব বালাইনাশক, যেমন নিম তেল, ট্রাইকোডার্মা, এবং বেসিলাস থুরিনজেনসিস ব্যবহার করে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আমি আমার বাগানে নিম তেল স্প্রে করে দেখেছি, এটি পোকামাকড় দমনে বেশ কার্যকর এবং পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না।

বিষয় রাসায়নিক সার জৈব সার
পরিবেশের প্রভাব দূষণ ঘটায় পরিবেশবান্ধব
জমির উর্বরতা কমিয়ে দেয় বৃদ্ধি করে
ফসলের গুণগত মান কম বেশি

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে কৃষি প্রযুক্তি

১. জলের সঠিক ব্যবহার ও সেচ প্রযুক্তি

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং খরার প্রবণতা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে জলের সঠিক ব্যবহার এবং উন্নত সেচ প্রযুক্তি ব্যবহার করা অপরিহার্য। ড্রিপ ইরিগেশন এবং স্প্রিংকলার সেচ পদ্ধতি ব্যবহার করে জলের অপচয় কমানো যায়। আমি আমার এক বন্ধুর পরামর্শে ড্রিপ ইরিগেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখেছি, এতে জলের ব্যবহার প্রায় অর্ধেক কমে গেছে এবং ফসলের ফলনও বেড়েছে। এছাড়াও, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

২. খরা সহনশীল শস্যের চাষ

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনেক এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে খরা দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে খরা সহনশীল শস্যের চাষ করা একটি ভালো বিকল্প। ধান, গম, এবং ভুট্টার অনেক উন্নত জাত রয়েছে, যা কম জলে ভালো ফলন দিতে পারে। আমি আমার এলাকায় দেখেছি, অনেক কৃষক এখন খরা সহনশীল ধান চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন।

কার্বন নিঃসরণ কমাতে কৃষকের ভূমিকা

১. শস্য অবশিষ্টাংশ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব

শস্য কাটার পর অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে দিলে তা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইডের মতো গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, যা জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করে। শস্য অবশিষ্টাংশ জমিতে মিশিয়ে দিলে তা জৈব সারে পরিণত হয় এবং জমির উর্বরতা বাড়ায়। আমি নিজে শস্য অবশিষ্টাংশ ব্যবহার করে কম্পোস্ট সার তৈরি করি এবং তা জমিতে ব্যবহার করি।

২. কার্বন sequestration-এর জন্য বৃক্ষরোপণ

কৃষি জমিতে বৃক্ষরোপণ করে কার্বন নিঃসরণ কমানো যায়। গাছপালা বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন নির্গত করে। এছাড়াও, গাছের শিকড় মাটিকে ধরে রাখে, যা ভূমি erosion কমাতে সাহায্য করে। আমি আমার জমিতে কিছু ফল গাছ লাগিয়েছি, যা একদিকে যেমন ফল দেয়, তেমনই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে।

পরিবেশ-বান্ধব কৃষি প্রযুক্তির অর্থনৈতিক সুবিধা

১. উৎপাদন খরচ হ্রাস

পরিবেশ-বান্ধব কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব। জৈব সার এবং জৈব বালাইনাশক তৈরি করতে রাসায়নিক সারের তুলনায় কম খরচ হয়। এছাড়াও, জলের সঠিক ব্যবহার এবং খরা সহনশীল শস্য চাষ করে সেচের খরচ কমানো যায়।

২. ফসলের বাজার মূল্য বৃদ্ধি

জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসলের বাজার মূল্য বেশি। ক্রেতারা এখন স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশ-বান্ধব খাদ্য খুঁজছেন, তাই জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসলের চাহিদা বাড়ছে। আমি আমার উৎপাদিত জৈব সবজি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেখেছি, সাধারণ সবজির তুলনায় এর দাম বেশি পাওয়া যায়।

স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি এবং পরিবেশ

১. সেন্সর ও ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার

স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে জমির তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং পুষ্টির মাত্রা পরিমাপ করা যায়। সেন্সর এবং ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে ফসলের প্রয়োজন অনুযায়ী সার এবং জল সরবরাহ করা যায়। এর ফলে অপচয় কমে এবং উৎপাদন বাড়ে।

২. ড্রোন ব্যবহার করে কীটনাশক স্প্রে

ড্রোন ব্যবহার করে ফসলের ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করা যায়। এর ফলে কীটনাশকের অপচয় কমে এবং পরিবেশের দূষণ কম হয়। এছাড়াও, ড্রোন ব্যবহার করে ফসলের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা যায় এবং রোগাক্রান্ত গাছপালা চিহ্নিত করা যায়।

কৃষিতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ

১. ভর্তুকি ও প্রণোদনা

সরকার পরিবেশ-বান্ধব কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য কৃষকদের ভর্তুকি ও প্রণোদনা দিতে পারে। জৈব সার এবং জৈব বালাইনাশক উৎপাদনে উৎসাহিত করার জন্য সরকার আর্থিক সহায়তা দিতে পারে।

২. প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কার্যক্রম

কৃষকদের পরিবেশ-বান্ধব কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। সরকার এবং বেসরকারি সংস্থা যৌথভাবে প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। এর মাধ্যমে কৃষকরা নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারবে এবং তা ব্যবহার করতে উৎসাহিত হবে।

글을 마치며

আশা করি এই নিবন্ধটি পরিবেশ-বান্ধব কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দিতে পেরেছে। পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য এই প্রযুক্তিগুলি ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। আসুন, সবাই মিলে পরিবেশ-বান্ধব কৃষি পদ্ধতি গ্রহণ করি এবং একটি সুস্থ ভবিষ্যৎ গড়ি। আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে ভুলবেন না!

알아두면 쓸모 있는 정보

১. জৈব সার তৈরি করার সহজ উপায়: আপনার বাড়ির আশেপাশে থাকা পাতা, সবজির খোসা এবং অন্যান্য জৈব পদার্থ ব্যবহার করে সহজেই কম্পোস্ট সার তৈরি করতে পারেন।

২. নিম তেল ব্যবহারের নিয়ম: নিম তেল স্প্রে করার আগে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন এবং সন্ধ্যায় স্প্রে করুন, যাতে উপকারী কীটপতঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।

৩. খরা সহনশীল ধানের জাত: বিআরRI ধান ৫৬ এবং বিআরRI ধান ৫৮ খরা সহনশীল ধানের ভালো উদাহরণ।

৪. স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার: স্মার্টফোন ব্যবহার করে মাটি এবং আবহাওয়ার তথ্য জানতে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।

৫. সরকারি সহায়তা: কৃষি বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে পরিবেশ-বান্ধব কৃষি প্রকল্পের বিষয়ে জানতে পারবেন।

중요 사항 정리

পরিবেশ-বান্ধব কৃষি প্রযুক্তি পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি কৃষকদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক। জৈব সার ব্যবহার, জলের সঠিক ব্যবহার, খরা সহনশীল শস্য চাষ, এবং কার্বন নিঃসরণ কমানোর মাধ্যমে আমরা একটি সুস্থ এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে পারি। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে কৃষকদের এই প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন করা এবং উৎসাহিত করা উচিত।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: কৃষি পরিবেশ প্রযুক্তি কিভাবে কার্বন নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে?

উ: দেখুন, কৃষি পরিবেশ প্রযুক্তি বিভিন্ন উপায়ে কার্বন নিঃসরণ কমাতে পারে। যেমন, উন্নত সার ব্যবহার করে নাইট্রাস অক্সাইডের নিঃসরণ কমানো যায়, যা একটি শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস। এছাড়া, নো-টিল পদ্ধতি (no-till farming) ব্যবহার করে মাটির কার্বন ধরে রাখা যায়, যা বায়ুমণ্ডলে কার্বন নিঃসরণ কমায়। আমি নিজে দেখেছি, আমাদের গ্রামে একজন কৃষক এই পদ্ধতি ব্যবহার করে তার জমিতে ভালো ফলন পেয়েছেন এবং পরিবেশের উপরও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

প্র: কৃষিতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধাগুলো কি কি?

উ: পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের অনেক সুবিধা আছে। প্রথমত, এটি পরিবেশকে দূষণ থেকে বাঁচায়। দ্বিতীয়ত, এটি মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখে, যা দীর্ঘমেয়াদী উৎপাদনের জন্য জরুরি। তৃতীয়ত, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমানো যায়, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আমি যখন প্রথম জৈব সার ব্যবহার শুরু করি, তখন ফলন একটু কম হয়েছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে মাটি উন্নত হওয়ার পর ফলন আগের চেয়েও ভালো হয়েছে।

প্র: কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য সরকার কৃষকদের কিভাবে সাহায্য করতে পারে?

উ: সরকার কৃষকদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে পারে। প্রথমত, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ভর্তুকি দিতে পারে। দ্বিতীয়ত, কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিতে পারে যাতে তারা নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারে। তৃতীয়ত, কার্বন ক্রেডিট (carbon credit) এর মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহিত করতে পারে, যারা কার্বন নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করছে। আমার মনে আছে, একবার কৃষি মেলায় গিয়েছিলাম, সেখানে সরকার কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে বীজ এবং সার দিচ্ছিল, যা সত্যিই খুব উপকারী ছিল।